বিজেপি করার অভিযোগ তুলে বাড়িতে আগুন, কাঠগড়ায় তৃণমূল

0
68

নিজস্ব সংবাদদাতা, এগরা: বিজেপি করা কি অপরাধ? এমনটাই প্রশ্ন তুলছে কর্মীরা৷ রামনবমীর দিনে এক বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল৷ ঘটনায় অভিযোগের তীর শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরায় জুমকি গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনিয়া এলাকায়।

খোদ কাঁথি সংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তরুণ কুমার মাইতির বিধানসভা এলাকায় ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। এমন ঘটনার পরও এগরা থানার পুলিশের কাছে কোন খবর নেই। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

- Advertisement -

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের দাবি, রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা নেই তাই সিবিআই তদন্ত চাই। সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তরুণ কুমার মাইতির বিধানসভা কেন্দ্র এগরা জুমকি গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনিয়া গ্রামে ঘটনা।

ওই গ্রামের বাসিন্দা দীপক দে’র বাড়িতে বুধবার রাতে কেউ ছিল না। অভিযোগ, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওই দিন রাতে কে বা কারা বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার ভোররাতে প্রতিবেশীদের কাছে জানতে পেরে ছুটে আছেন। ততক্ষণে সব শেষ। ভষ্মীভূত হয়ে যায় পুরো বাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় জল দিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বাড়িতে থাকা দামী আসবাবপত্র সহ পুরোটাই ভষ্মীভূত হয়ে যায়। এদিন সকালে বাড়িতে পৌঁছায় এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা বলে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব দাবি। এই ঘটনা হাতিয়ার করে মাঠে নেমে পড়েছে বিরোধী দল বিজেপি। অগ্নিকাণ্ডে ঘটনার পরও পুলিশের কাছে কোন খবর নেই। তাহলে কি রাজ্য পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। উঠছে প্রশ্ন।

বাড়ির মালিক দীপক দে’র স্ত্রী রেখা দে বলেন, ‘‘সব জ্বালিয়ে চলে গিয়েছে। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাই। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি চাই৷’’ তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে অভিযোগে আঙুল তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্বরা। স্থানীয় বিজেপি মণ্ডল সভাপতি বিদ্যুৎ শীটের কথায়, ‘‘তৃণমূলের কালচারই এমন। বাড়িতে থাকলে হয়তো দ্বিতীয় বগটুই ঘটনা ঘটতে পারতো। পুলিশ ও প্রশাসন কোন ভূমিকা নেই। মানুষ যোগ্য জবাব দেবে৷’’

যদিও ঘটনায় অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এগরা বিধায়ক ও কাঁথি সংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তরুণ কুমার মাইতির কথায়, ‘‘বিজেপি সমর্থক আপনাকে বলছে, আপনি ট্যাগ লাইন যোগ করছেন! আমার পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ও বুধ সভাপতি পৌঁছেছেন। আমি তাদের ত্রাণের ব্যবস্থা করেছি। তারা বিজেপি করে বলতে পারেন, কিন্তু আমাদের ভোটার বলে জানি। তারা বাড়িতে ছিল না, জামাই সঙ্গে গণ্ডগোল জন্যই আগুন লাগিয়ে দিয়েছ৷’’

এগরা থানার আই সি মৌসম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের জানা নেই। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে। যদি আমরা খোঁজখবর নিয়ে দেখছি৷’’